এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বাউফলে বলাৎকারের শিকার হয়ে আল-রাফি (১৩) নামে শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজীকে আটক করেছে র্যাব।
রোববার (২৭শে আগষ্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত আল-রাফির বাবা মোঃ রেজাউল করিম বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র্যাব দ্রুত অভিযান চালিয়ে একই রাতে পিরোজপুরের কাউখালী গ্রাম থেকে হাফেজ সেলিম গাজী কে আটক করা হয়।
এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, এ ঘটনায় নিহত ছাত্র রাফির বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় হাফেজ সেলিম গাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাত্র আল-রাফিকে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে বলাৎকার করে আসছিল। যাহার দরুন গততিন সপ্তাহ আগে ছাত্রটি পেটের ব্যধাসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। এরপর তারা শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসায় ছাত্রটির মলদারে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে ঢাকার মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার সময় তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ পোস্ট মর্টেম শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় হাফেজ সেলিমের বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।
নিহত শিশু আল-রাফি উপজেলার নাজিরপুরের বড় ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রেজাউল আকনের ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের ১৭ প্যারার ছাত্র ছিল।