মো: রাসেল মোল্লা,নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলের ৩শ ফুট সড়কের পাশে চোরাই তেল, মবিল ক্রয়ের খুপড়ি দোকান বসানোর দ্বন্দ্বের জেরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায়,ছাত্রলীগের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন সহসভাপতি সুমনসহ ৪ জন অগ্নি দ্বগ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গত (২৮) আগষ্ট রাতে উপজেলার পূর্বাচলের ৩শ ফুট সড়কের পাশে বউরারটেক এলাকায় ঘটে এই ঘটনা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও খুপরি দোকানদার রিটনের মা সাজেদা খাতুন জানান, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শিমুল পূর্বাচলের বউরারটেক এলাকায় তেলের দোকান দেয়। আর এই দোকান বসাতে সহযোগীতা করে তার ছেলে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিটন মিয়া।
এদিকে এ দোকানোর পর থেকে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমনকে সঙ্গে না রাখায় সুমন বিরোধীতা শুরু করে। নানাভাবে হুমকী ধামকীসহ দোকান জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকী দেয় সুমন।
এরই জেরে গত ২৮ আগষ্ট রাতে সুমন ও তার লোকজন নিয়ে মদপান করা অবস্থায় দোকানে হামলা করে। এক পর্যায়ে দোকান জ্বালিয়ে দিতে আগুন ধরিয়ে দেয় সুমন। কিন্তু ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে সুমনসহ তার সহযোগী রিফাত, মোবারক,আরো ৪/৫ জন আগুন লেগে আহত হয়।
সাজেদা খাতুন অভিযোগ করে আরও জানান, হামলার সময় দোকানে রিটন বা শিমুলরা উপস্থিত ছিলো না।
তবে দোকানের দুজন কর্মচারীকে মারধর করলে ভয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে তেলের ড্রামে আগুন লাগিয়ে দেয়ার হামলাকারী সুমন আগুনে দ্বগ্ধ হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।কিন্তু এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী যুথী বাদী হয়ে রিটনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমনের স্ত্রী যুথী জানান, রিটনই আগুন লাগিয়ে সুমনকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। এ সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছে রিটনের পরিবার।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার আসামি রিটনসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।