মোঃ শফিয়ার য়ার রহমান পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছায় নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার ওয়াপদার ভেড়ি বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন।
সরজমিনে দেখা যায়, কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে আবার কোথাও বাঁধ উপচে নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে গদাইপুর ইউনিয়নে বোয়ালিয়া জেলে পল্লী ও হরিঢালী ইউনিয়নের হরিদাসকাটির বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি। পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার দুপুরে পূর্ণিমার গোন হওয়ায় এলাকার শিবসা ও কপোতাক্ষ নদী সহ উপজেলার নদ নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে গদাইপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার বাঁধ ভেঙে ও উপচে জেলে পল্লীর সব ঘর বাড়ি সম্পূর্ণ নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। বাঁধ উপচে পৌর বাজারের কাঁকড়া মার্কেট, চিংড়ি বিপণন মার্কেট, মাছ বাজার, ফল বাজার ও সবজি বাজারে পানি উঠে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়।
এছাড়াও সোনাতন কাটী ও মাহমুদ কাটী, রাড়ুলী ইউনিয়নের রাড়ুলী জেলে পল্লী, লস্কর ইউনিয়নের আলমতলা অত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার অনেকগুলো স্থান অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। এছাড়া পোল্ডারের বাইরের অনেক চিংড়ী ঘের তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকরা।
এদিকে খবর শুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু।
এসময়ে ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বর্ণনা দিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। যেসব এলাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত রয়েছে সেখানে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এছাড়া স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ’কে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাগিদ দেন। ক্ষতিগ্রস্তের সাথে কথা বলে তাদেরকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে কে আরিফুজ্জামান তুহিন গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়াসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসময় উপস্থিত ছিলেন।