ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের (২১-২২) সেশনের মেধাবী শিক্ষার্থী আহসান হাবিব (ছদ্বনাম)। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। বাবা অসুস্থ, মা ছোট্র একটি চাকরি করেন। অর্থভাবে পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কিনতে পারছিলেন না বই খাতা। নিজেও শারিরীকভাবে অসুস্থ। নিজের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে যখন কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না তখন পাশে দাঁড়ান বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম। কিনে দেন বই, দায়িত্ব নেন পড়ালেখার খরচ বহনের। সাধ্যমত চিকিৎসা খরচ বহনেরও দায়িত্ব দেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এতে অসহায় ছেলেটি ভরসা পায়, নতুন করে স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রেরণা পায়।
জানতে চাইলে মেধাবী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মাহবুব ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। মাহবুব ভাই যেই উদারতা দেখিয়েছেন তার কাছে আমি চিরঋণি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে ছাত্রলীগকে পছন্দ করতাম না। আমার বিপদে সেই ছাত্রলীগ নেতাই পাশে দাঁড়িয়েছে। চারদিকে যখন অন্ধকার দেখছিলাম তখন আলোকবর্তিকা হয়ে আমার সামনে হাজির হয়েছে মাহবুব ভাই। আমি তার জন্য দোয়া করি, ভাই যেন জীবনে অনেক বড় নেতা হয়।
জানতে চাইলে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সকল অশুভর প্রতিপক্ষ হয়ে সকল ভাল কিছু সাথে থাকবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রবল অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো হয়ে জ্বলবে। সকল প্রতিকুলতায় এদেশের ছাত্র সমাজকে পথ দেখাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় ছিল, এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম ভাইয়ের নির্দেশনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এই ধরনের মানবিক কাছে আমি মানসিক তৃপ্তি পাই। আপনারা জানেন- করোনাকালীন সময়েও যখন সন্তান মা বাবা কাছে যায়নি, স্ত্রী তার স্বামীর পাশে যায়নি করোনার ভয়ে তখনও আমি নিজের বাইকে করে করোনা আক্রান্তদের বাসায় অক্সিজেন পৌছে দিয়েছি। আমি মনে করি বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোতেই প্রকৃত শান্তি।’