তোফায়েল আহমেদ,ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি
শব্দবাণে সাজাও তোমার চিন্তারণের শ্লোক’ গানকে সামনে রেখে গত ১২ অক্টোবর ২০২৩ইং শুরু হয় চার দিনব্যাপী জাতীয় বিতর্ক উৎসব। জাতীয় বিতর্ক উৎসব আয়োজন করে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন (জেইউডিও)। উৎসবের প্রথমদিন ১২ অক্টোবর ১২তম আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৩৪টি দল। ১৩ অক্টোবর উৎসবের দ্বিতীয় দিন ১২তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কে অংশ নেয় ৩৬টি দল এবং তৃতীয় দিন ১৪ অক্টোবর ১৮তম আন্তঃকলেজ বিতর্কে সারাদেশের ৩৪টি দল অংশ নেয়। ১২তম আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জাতীয় বির্তক উৎসব স্কুল পর্যায়ে ভাষার দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন সাভার সেনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির বিজ্ঞাণ বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ইসলাম মাঈশা। উৎসবের শেষদিন রোববার সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী পর্বে সানজিদা ইসলাম মাঈশাকে সম্মাননা প্রদান করেন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল হাসান। পুরষ্কার বিতরণী পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আহমেদ রেজা, (জেইউডিও) এর মডারেটর অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি মুকসিমুল আহসান অপু প্রমুখ।
এ বিষয়ে মাঈশার বাবা মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, পেশাগত ভাবে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী এবং বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিদ্যাপীঠে মেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষার সমাপনী করান। তিনি সবসময়ই চাইতেন সন্তানদের সুষ্ঠ মেধা বিকাশের জন্য পাঠ্য বইয়ের বাহিরেও যেন সাধারণ জ্ঞাণের বিকাশ ঘটে। তাই ছোট বেলা থেকেই তিনি তার দুই ছেলে মেয়েকে স্কুল শিক্ষার পাশাপাশি যেন সাধারণ জ্ঞাণ আহরণ করতে পারে সেজন্য নিজেই স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাঈশাকে কোরআন তেলাওয়াত, কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা, রচনা, ছবি অঙ্কণে উৎসাহিত করার জন্য অংশগ্রহণ করাতেন। তিনি বলেন এমনও হয়েছে বাসা থেকে কবিতা আবৃত্তি শিখিয়ে স্কুলের ষ্টেজে দাঁড় করিয়েছি কিন্তু এইরকম হয়েছে যে, প্রথম প্রথম কিছু বলতে পারে নাই তারপর কোলে করে বাসায় ফিরে এসেছি। বাসায় এসে কান্না করে বলছে আব্বু আমি কেন পারলাম না, আমি উৎসাহ দিয়ে বলেছি অসুবিধা, নাই আজকে পার নাই তাতে কি হয়েছে একদিন তুমি সেরা হবে। মাঈশার ভবিষৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, পরিবারের ইচ্ছে ডাক্তার হয়ে দেশের সেবা করার । মাঈশার ও তাই ইচ্ছে। মাঈশার বাবা দেশ বাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী, বড় হয়ে মাঈশা যেন দেশ ও জনগনের সেবা করতে পারে।