রাজশাহী উপজেলা প্রতিনিধি :-মোছা: সাহানা খাতুন:
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যা ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত। বিমানবন্দরটির আয়তন ৮০২ হেক্টর (১,৯৮১) একর।
১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক বিমান পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ সরকার দাইনোদ্দা নামে একটি স্থানে তেজগাঁও বিমানবন্দর নির্মাণ শুরু করে এবং কুর্মিটোলায়(বালুরঘাট) একটি ল্যান্ডিং স্ট্রিপ নির্মাণ করেণ।১৯৪৩ সালের শুরুতে তেজগাঁওয়ের নির্মাণাধীন রানওয়েতে হালকা ফাইটার বিমান অবতরণ শুরু করে। একসময় তেজগাঁও বিমানবন্দর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বেসরকারি বিমান চলাচলের প্রথম বিমানবন্দর হয়ে ওঠে।১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কুর্মিটোলায় নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে এবং ফরাসি বিশেষজ্ঞ কারিগরি সহায়তায় নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি অর্ধেক সম্পন্ন অবস্থায় ছিলো।কিন্তু যুদ্ধের সময় বিমানবন্দরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।স্বাধীনতার পর এটিকে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ সালে মূল রানওয়ে এবং কেন্দ্রীয় অংশটি খোলার মাধ্যমে বিমান বন্দরটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।১৯৮৩ সালে বিমান বন্দরের নাম প্রায়ত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে করা হয়।১৫ ফ্রেব্রুয়ারি ২০১০ সালে মন্ত্রীসভার বৈঠকে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে পরিপত্র জারি করে নামকরণ কার্যকর করা হয়।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থায় ( IATA) কোড (DAC) নেওয়া হয়েছে Dacca থেকে যা,Dhaka এর পূর্বে ব্যবহারিত বানান ছিলো। শাহজালাল বিমান বন্দর প্রধানত তিনটি টার্মিনাল নিয়ে গঠিত।
টার্মিনাল -১, টার্মিনাল -২ ও অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল। টার্মিনাল -১ ও টার্মিনাল -২ প্রায় ১ লাখ বর্গমিটার জায়গার ওপর নির্মিত।
আন্তর্জাতিক টার্মিনালের বাম দিকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল অবস্থিত।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্ধোধণ(সফট লঞ্চিং)করা হয় ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে।
বতর্মান সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল।