মোমেন আকন্দ (স্পেশাল রিপোর্টার)
হিন্দু ধর্মের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের সকল স্থানে।
দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব সংস্কৃত: दुर्गा पूजा হল হিন্দুদের দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত একটি হিন্দু উৎসব। এটি সারা বিশ্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা পালিত হয়, তবে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওড়িশা, বিহার, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, উত্তর প্রদেশ (পূর্বাঞ্চল) এ ঐতিহ্যগত বিশেষভাবে উদযাপিত হয়।
আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন হলো : দুর্গাষষ্ঠী, দুর্গাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়াদশমী নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া। এই দিন হিন্দুরা তর্পণ করে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এই দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী লক্ষির পূজা করা হয়। কোথাও কোথাও পনেরো দিন ধরে দুর্গাপূজা পালিত হয়। সেক্ষেত্রে মহালয়ার আগের নবমী তিথিতে পূজা শুরু হয়। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে, কালিকা পুরাণে বলা হয়েছে, অষ্টাদশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী উগ্রচণ্ডা তথা দশভুজার বোধন করা হবে কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে, ষোড়শভুজা ভগবতী ভদ্রকালীর বোধন করা হবে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে এবং চতুর্ভুজা ও দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী বিগ্রহের বোধন করা হবে যথাক্রমে শুক্ল প্রতিপদে এবং শুক্লা ষষ্ঠীতে। আবার মহাকাল সংহিতার বিধানে প্রতিমাভেদে উগ্রচণ্ডার কৃষ্ণনবম্যাদিকল্পে, ভদ্রকালীর প্রতিপদাদি কল্পে ও কাত্যায়নী দুর্গার ষষ্ঠ্যাদি কল্পে পূজার অনুষ্ঠান বিধেয়। (তথ্য: ইউকিপিডিয়া)
এর ই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। জয়দেবপুর রেলগেট সংলগ্ন মন্দিরে ঘুরে দেখা গেছে, উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। ছোট-বড়, পুরুষ-মহিলা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে প্রচার উৎসবে। পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা,কর্মচারী,মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী সহ সাধারণ জনগণ।