এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফলে সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে আতিকুর রহমান আতিক (১২) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একই মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল হোসেন (১৪) কে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ হত্যার পিছনে রয়েছে এক রহস্য এমনটাই দাবি স্বজনদের। তাই নিয়ে চলছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক শেখ এম জাফরান হারুনের অনুসন্ধান। রহস্যের উদঘাটন করে নিয়ে আসছি পরর্বতীতে বিস্তারিত!
শনিবার (২রা ডিসেম্বর) দিবাগত সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল মুন্সি বাড়ি জামে মসজিদের সেফটি ট্যাংক থেকে আতিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। আতিক বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নের মধ্য জিরাইল গ্রামের সরোয়ার হোসেন সরদার এর ছেলে। সে পাকডাল ফজলুর রহমান দারুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
আর আটককৃত একই মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল হোসেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালগুনি গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার ভোরে মাদ্রাসার সহপাঠী ও শিক্ষকরা ঘুম থেকে জেগে আতিকুল ইসলামকে কোথাও দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার অপর এক শিক্ষার্থী ইসমাইল শিক্ষকদের কাছে পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকে আতিকের লাশ লুকিয়ে রেখে আসার কথা জানায়। সন্ধ্যার পর ওই মসজিদের সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা খুলে আতিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আতিকের আপন বড় চাচা হাবিব সরদার বলেন, ইসমাইল হোসেনের একার পক্ষে হত্যা করে রুম থেকে বের করে নিয়ে আবার পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা খুলে আবার ভিতরে ভরে রেখে পূনরায় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নির্ভয়ে নির্ভাবনায় থাকা রহস্য মনে হচ্ছে। এখানে মাদ্রাসা শিক্ষক সহ অন্যান্য কোনও ছাত্র জরিত রয়েছে নিশ্চিত। আমরা এই রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে হত্যাকারীদের শাস্তি ফাঁসি দাবি করছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ইসমাইল তার শিক্ষকদের কাছে আতিকুল ইসলামকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু আতিকুলের একার পক্ষে ওই সেফটি ট্যাংকে লাশ লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, আতিকের লাশ উদ্ধার করে রোববার ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং একই মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল কে সন্দেহ হিসেবে রোববার ভোর রাতে একই মাদ্রাসা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার সাথে সাথে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।