নাঈম ইসলাম
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সাজনপুর আঠারবাড়িয়া পশুর হাটটি প্রায় ১৪ বছর ধরে জমে আসছে। নিকলী উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো: আলম মিয়া এই হাটটির ইজারা নেন।
প্রতি বুধবার সাজনপুর বাজার আঠারবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ময়দানে সারি সারি গরু, ছাগল ও ভেড়ার হাট বসে। এই পশুর হাটে নানা বয়েসী মানুষের আনাগোনা। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ব্যাপারী ও খরিদ্দারদের সংকোচহীন দরাদরি, অনবরত পশুর ডাক, ময়দানের ভেতরই কয়েকটি টি-স্টল। হাটের পাশ দিয়ে ট্রাক-পিকাপভ্যানের বড় বড় সারি, হাটজুড়ে গমগম আওয়াজ। কিশোরগঞ্জের শ্রেষ্ঠ সাজনপুর আঠারবাড়িয়া পশুর হাটের চিত্র এটি।
হাটে আসা ক্রেতা,বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান এই হাটে এসে কোন রকম চাঁদাবাজি পাননি এবং স্বল্প ছোটের মাধ্যমে কেনাবেচা করা যায়।
ইজারাদার মো: আলম মিয়া বলেন,সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আফজাল হোসেনের সহযোগীতায় ২০০৯ সালে এই সাজনপুর আঠারবাড়িয়া পশুর হাটটি গড়ে উঠেছে। এই হাটে পার্শ্ববর্তী জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ক্রেতা,বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত সমাগমের কারনে যতটুকু জায়গা রয়েছে তার থেকে বেশি দরকার, যা আমাদের নেই। আমরা সরকারকে এই বাজার থেকে যত টাকা রাজস্ব দেই, যদি আমাদের হাটের জন্য আরেকটু জায়গার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে আমরাও সরকারকে রাজস্ব খাতে আরও সহযোগিতা করতে পারতাম। সেই সাথে অত্র এলাকার ৫০-৬০ টি পরিবারের লোকদের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং মসজিদ মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করে আসছি আরও করতে পারবো।