এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
শুরু হয়েছে ফাল্গুন মাস, আর ফাল্গুনের শুরুতে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তথা বাউফল উপজেলা এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। চোখে পড়ে মুকুলে ছেয়ে থাকা অসংখ্য আমগাছ। মৌমাছি ও ভ্রমরের সুর-ব্যঞ্জনায় ফুটেছে যেন তা।
তবে কবির ভাষায়, ফাল্গুন এসেছে সুবাস ছড়াচ্ছে আম্রমুকুল। গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। প্রকৃতিতে এখনও ফাল্গুন কিন্তু এরই মধ্যে গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে ম-ম গন্ধ। আর এ মিষ্টি গন্ধ মানুষের মন বিমোহিত করে শোনাচ্ছে মধুমাসের আগমনি বার্তা।
তবে গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। চাষিরা আশা করছেন, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰামের সড়কের পাশে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। গ্রাম এলাকায় নদী বা খালের পাশে বাগানে এবং, শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের ঘ্রাণে মৌমাছির আহরণে কোকিলের ডাকে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। আম চাষি ও বাগান মালিকরা বলছেন, মাঘের মাঝামাঝিতে গাছে মুকুল দেখে তারা বুঝছেন, আমের মৌসুম এসে যাচ্ছে।
বাগানের গাছগুলোর যত্ন নিতে পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন। ভাল ফলনের আশায় জোরেশোরে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা।আমের মুকুলের ঘ্রাণ বইছে গ্রামগুলোয়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের ঘ্রাণ। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সুগন্ধ। গ্রামগঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে খুশি এলাকার মানুষ। তবে দেশি জাতের আমগাছে মুকুল ধরতে শুরু করেছে। আমের মুকুলভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো কোনো কিছু হলেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান বাগান মালিকরা ও চাষিরা।
পটুয়াখালী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আমের প্রকৃত ফলন পেতে হলে অবশ্যই আম গাছে কমপক্ষে দুবার ইমিডাক্লোরোপিড গ্রুপের কীটনাশক ও ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার আমের মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে, দ্বিতীয়বার আমের সাইজ মটরদানার মতো হলে। এ ব্যাপারে কৃষককে পরামর্শের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রদানে কৃষি বিভাগ অব্যাহত বলে জানান।