মো:লিংকন আহমেদ,স্টাফ রিপোর্টার:
তিস্তা নদীর কথা মাথায় আসলে প্রথমেই মনে পড়ে নদী ভাঙ্গন আর বন্যায় অসহায় মানুষের কষ্টের কথা।নদী ভাঙ্গন আর বন্যা যেন তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনের একটা অংশ হয়ে রয়েছে। বন্যায় তিস্তা নদীর দুইকুল ছাপিয়ে পানি উঠে সৃষ্টি হয় বন্যার আর এই সময় নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। বন্যার সময় নদী এলাকার মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হয়।জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য তারা বড় সমস্যায় পড়ে। বন্যায় নষ্ট হয় ফসলি জমির ফসল ও পুকুরের মাছ।
তিস্তা সেতুর নির্মাণে এই অঞ্চলের মানুষ আশার আলো দেখতেছে। সেতু নির্মাণের ফলে দুই পাড়ের মানুষ বন্যা ও নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্তি পাবে।সেই সাথে তারা যাতায়াতের জন্য সহজ পথ পাবে যা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার দূরত্ব কমাবে ১৩৫ কি.মি.। তিস্তা সেতুই বাংলাদেশের LGED নির্মিত প্রথম সবচেয়ে বড় সেতু। সেতুর সাথে ৮৬ কি.মি. রাস্তার কাজও শুরু হয়েছে। সেতুর কাজ শেষ হলে নৌকার জন্য দুই পাড়ের মানুষ কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা লাগবে না।
জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে তিস্তা সেতু।