কাতার প্রতিনিধি,মোস্তাক আহমেদ বাপ্পি
কাতারের মহামান্য আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানী সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেন।
উনার এই ঐতিহাসিক সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতার BCQ এর উদ্যোগে মতবিনিময় ও এক আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির সকল নেতৃত্ব বৃন্দ উপস্থিত ছিলো।
কাতারের আমির ঢাকা সফর ছিল ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের। কিন্তু সংক্ষিপ্ত হলেও সফরটি ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফায় ৭০ মিনিটের বেশি সময় দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
দুই শীর্ষ নেতার আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এরপর কাতারের আমির বঙ্গভবনে তাঁর সম্মানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
কাতারের আমিরের সফরে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হলো তা নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিগণ ।
বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
মঙ্গলবার ঢাকার তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিগুলো হল–
· আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি
· পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি
· দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধ চুক্তি
· সাগর পথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি
· দুই দেশের যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
শ্রমবাজার, জ্বালানি নির্ভরতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বর্তমানে কাতারের যে অবস্থান, সব মিলিয়ে দেশটির আমিরের এই সফর নি:সন্দেহে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ” সফর ছিলো বলে বাংলাদেশ কমিউনিটি পক্ষে মতামত প্রকাশ করেন।
সব মিলিয়ে কাতারের আমিরের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে কাতার অবস্থানরত ৪ লক্ষ্য প্রবাসী বাংলাদেশি।