এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের এক মাছ ব্যবসায়ী কে দিনেদুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে শাহীন নলী (২৬) ও মোঃ সাইফুল বেপারি (২৪) নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১১ মে) আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাতিরখাল নামকস্থানে। ভুক্তভোগীর নাম মোঃ রিপন খান (৩৭), তিনি চরমিয়াজান গ্রামের বাসিন্দা মোঃ বাবুল খানের ছেলে। এবং ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারের স্বামী।
ভুক্তভোগী মোঃ রিপন খান অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন মাছ ব্যবসায়ী। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলেদের মাছের হিসাব করে টাকা দেওয়ার জন্য সাথে ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা নিয়ে বাতিরখাল যাই। সেখানে যেতেই বৃষ্টি শুরু হলে সামনে থাকা একটা বন্ধ দোকানের বেঞ্চে গিয়ে বসি। এমন সময় চর ওয়াডেল গ্রামের বাসিন্দা শাহীন নলী ও সাইফুল বেপারি এসে আমাকে বলে চায়না চাইজালগুলো কোষ্টগার্ডের হাতে ধরিয়ে দিছো কেন? তখন আমি আচমকা প্রশ্ন শুনে ওদের বলেছি যে এমন কোনও প্রমাণ যদি দেখাতে পারো তাহলে একএকটা চাইয়ের বদলে তিনতিনটা করে চাইজাল দিবো। বলতে না বলতেই ওরা দুইজন মিলে এলোপাতাড়ি ভাবে আমাকে লাথি, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে থাকে এবং আমার জামাকাপড় টেনে ছিড়ে ফেলে পকেটে থাকা টাকা গুলো ছিনিয়ে নেয়। এসময় আমার ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আসলে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত চলে যায়।
ভুক্তভোগী মোঃ রিপন খান আরও বলেন, কোষ্টগার্ড কবে বা কার চাইজাল নিয়েছে তা আমি আদৌও জানিনা। ওই শাহীন নলী ও সাইফুল বেপারি কালাইয়া নৌ পুলিশের সাথে নদীতে ডিউটি করে। পুলিশের ক্ষমতা প্রভাব দেখিয়ে জেলেদের কাছ থেকে অবৈধ চাইজাল বাওয়াইয়া টাকা উত্তোলন করে। জেলেদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসে এবং হয়রানি করে। আমার মাছ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুলিশ দিয়ে ধ্বংস করে দিবে বলে হুমকি ধামকি দেয়। আমি আমার ওই ছিনতাই হওয়া টাকা গুলো ফেরত সহ প্রশাসনের কাছে তাদের দৃষ্টান্ত মুলক বিচার চাই।
অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে অভিযুক্তদের মধ্যে শাহীন নলী বলেন, আমি কালাইয়া নৌ পুলিশের মাঝি। কিছু জেলেদের জাল ধরে পুড়ি। তাই সে ব্যাপারে তর্কাতর্কি হয়। ওইরকমের কোনও ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট, অযথা হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অভিযোগ তুলেছেন। তবে ব্যাপারটি চেয়ারম্যান কে জানাইছি, তিনি এঘটনার ব্যাপারে অবগত রয়েছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা বলেন, আমি এব্যাপারে রিপনের কাছ থেকে শুনেছি। তবে উভয় পক্ষ আসলে একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যদি না আসে তাহলে তাদের যেরকম ইচ্ছে সেইরকম করুক, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই।