মোস্তাক আহমেদ বাপ্পি
স্থানীয়রা জানায়,বিয়ের মেহেদী হাতের রং মুছার আগেই বজ্র পাতে সৌদি আরব প্রবাসী সোহাগ মিয়ার মৃত্যু হয়।তিনি নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সাতঘরহাটি গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে।
১০ জুন ২৪ইং দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর চরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ছুটিতে দেশে ফিরে ১০ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মধ্যপাড়ার মনা মিয়ার মেয়ে বন্যা বেগমকে বিয়ে করেন। কিন্ত নিয়তির ডাকে বজ্রপাতের আঘাতের কারনে নতুন জীবন শুরু করেও সংসার করা হলো না।
সেখানে নতুন বাড়ির কাজও শুরু করেছিলেন তিনি।
সোমবার দুপুরে নিজেদের কয়েকটি মহিষকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা বাজারের পাশে লালপুর চরে নিয়ে যান। এ সময় ঝড়বৃষ্টি কবলে পরে বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৌদি প্রবাসী সোহাগের।প্রচুর ঝড়-বৃষ্টি থাকায় ওই সময় আশে-পাশে কোনো মানুষ ছিল না। বৃষ্টি শেষে লোকজন চলাচল শুরু হলে মাটিতে সোহাগের লাশ দেখতে পেয়ে তা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন।
এ সময় পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সকলে সোহাগ এর জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করেন।
নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। শরীর বজ্রপাতের আঘাতে জ্বলসে গেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের লোকজনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।