এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বসত ঘরে ভয়ংকর বিষধর রাসেলস ভাইপার দেখে আতঙ্কে প্রহর গুণছে এলাকাবাসী। আর এই খবর মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায়। যার খবরে আতঙ্কে দশমিনা ও বাউফল উপজেলাবাসী। সবার মুখে এখন একটাই কথা রাসেলস ভাইপার থেকে কীভাবে বাঁচা যায়।
শুক্রবার (২১ জুন) গলাচিপা পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড গার্লস স্কুল রোডের মন্টু বালার বাসায় রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পেয়ে ভয়ে ডাক চিৎকার দিলে এলাকাবাসী সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এ সময় স্থানীয়রা সাপটিকে মাটিচাপা দেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাহিরে অবস্থান করছেন এলাকার লোকজন। পরে স্থানীয়রা সাপটির ছবি তুলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শনাক্ত করে যে সাপটি বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার।
বিশ্বের ভয়ংকর সাপের মধ্যে রাসেলস ভাইপার অন্যতম। আগে থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ফিলিপাই, ভারত, নেপাল, ভুটান সহ বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে দেখা গেলেও বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বত্র এর বিস্তার লাভ করে। এই সাপের কামড়ে শরীরের দংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত ও কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়। যার ফলে এই সাপে কামড়ালে অল্প সময়ের মধ্যে মানুষ মারা যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
এবিষয়ে গলাচিপা বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপ লোকালয়ে সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। বন্যার পানিতে ভেসে আসতে পারে এই সাপ। বাচ্চা দেওয়ার কারণে হয়তো ওই সাপটি লোকালয়ে চলে এসেছে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে বাউফলের সচেতন মহলের একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, গলাচিপায় রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে এটা আসলেই আতঙ্কের বিষয়। তবে আমাদের এব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সর্তক সচেতন থাকতে হবে আমাদের।