এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, গত বছর অক্টোবর মাসে বাউফল থানায় দায়েরকৃত দুইটি পৃথক ডাকাতি মামলা হয়। যাহার মামলা নং ৬ তারিখ ৬/১০/২৩ এবং অপরটি মামলা নং ২৩ তারিখ ২২/১০/২৩। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৭ জন ডাকাত কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ওইসব ডাকাত আসামীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ডাকাত সদস্য দীপ্ত কর্মকার (২৮) কে শনিবার (২২শে জুন-২০২৪ ইং) দুপুরের দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুটি ডাকাতির মামলায় মোট ৮ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় কর্মরত পুলিশের কনেস্টবল দুলাল মিয়া। ডাকাত সদস্য দীপ্ত কর্মকার গ্রেফতার হওয়ার তিন দিন আগে ছদ্দবেশে গৌরনদীর বাটাজোড়া গ্রামে দীপ্ত কর্মকারের মুরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ নেন কনেস্টবল দুলাল মিয়া। কাজ করার ভীতরেই পরপর তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হন যে দীপ্ত কর্মকার ওই ডাকাত দলের একজন সদস্য ছিলেন। পরে অভিনব কায়দায় খবর পাঠান বাউফল থানায় কনেস্টবল দুলাল মিয়া।
এদিকে রশিক পুলিশ ক্রেতা সেজে ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম ও এসআই নাসির যান ওই মুরির কারখানায়। এবং ধরে ফেলেন ওই ডাকাত সদস্য দীপ্ত কর্মকার কে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।