ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে জাকেরের সূরা হইতে পদ্মা নদী ভাঙার মাথা (১১৯০মিটার) রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল অ্যান্ড ব্রাদার্স অনুকুলে কাজ নেওয়া সাব কন্টাক্টে ঠিকাদার মো. বেলায়েত হোসেন, কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। হাডসোল্ডার করে বেড প্রিপারেশন এর পর তিন ইঞ্চি খোয়া ধরা থাকলেও ঠিকাদার রাস্তার পুরানো খোয়া লাঙ্গল দিয়ে চাষ দিয়ে লুজ করে দুই পাশে সাইড করে রেখে, পরে আবার এই খোয়া দিয়েই কাজ করার পায়তারা করছেন। এর ফলে নতুন ২২ লাখ টাকার খোয়া না দিয়েই নির্মাণ কাজ শেষ করে চলেছেন।
এই রাস্তার কাজ তদারকীতে উপজেলা এলজিডির সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে নির্মাণ কাজ তদারকিতে গাফলতি আছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এলজিইডির ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভি আর আর পি, প্রকল্পের পুরাতন রাস্তা কার্পেটিং কাজের অনুকুলে প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও এখনো অনিয়মের মাধ্যমে কাজ দিয়েই উক্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল এন্ড ব্রাদার্সের অনুকুলে কাজ নেওয়া সাব কন্টাক্টে ঠিকাদার মোঃ বেলায়েত হোসেন,
স্থানীয়দের অভিযোগ,এ ভাবে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এ রাস্তায় নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙ্গে জলে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্ধে অবমূল্যায়নের ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের।
সরেজমিনে রাস্তার কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৗশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাউকে এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি। এমনকি নির্মাণ কাজের কোন টেস্ট না করেই নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান দিপু খান বলেন, আমরাও ঠিকাদারি করেছি আমার জীবনের যত অনিয়ম দেখেছি তারমধ্য সর্বশ্রেষ্ঠ অনিয়ম হয়েছে এ রাস্তায়। সাব কন্টাক্টে দেয়া ঠিাকাদারকে টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার কথা বললেও কোন তোয়াক্কা না করে কাজ সম্পূর্ণ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।
অভিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক কাজের অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করে অভিযোগের তোয়াক্কা না করে বলেন, আমি কাজটি বিক্রি করে দিয়েছি। কাজের মান এলজিইডি তদারকি করে বিল দিবেন।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জালাল উদ্দিন বলেন, এই কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অধীনে টেন্ডারের চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে, প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকা। উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ না হলে এবং কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল বিন করিম বলেন, এ সড়কে অনিয়ম হচ্ছে সেটা আমার জানা নেই। সড়কে কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ এলাকাবাসী আমাকে জানায়নি।
ফরিদপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।