মোঃ রেজাউল ইসলাম লিটন বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে এক মুসলিম যুবক হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করায় অভিযোগ উঠেছে। ২৮ দিন পর অপহরণ মামলা করছেন মেয়েটির পরিবার।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক, তার বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে ‘অপহরণের’ অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ডোমার থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মোরছালিন ইসলাম (২০)। তিনি জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বেরুবন্দ গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার এজাহারে কিশোরীর বাবা উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত যুবকের আমার বাড়ীর পাশে তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় প্রায় তার বাড়ীতে যাতায়ত করত।
সেই সুবাদে আমার মেয়ের সহিত পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে আমার মেয়ে আমার বসত বাড়ীর হইতে বাহির হইলে প্রায় সময় একাকী দেখা পাইলে আমার মেয়েকে প্রেম প্রস্তাব দেওয়াসহ অশ্লীল কথাবার্তা বলিয়া উত্যক্ত করে।
অপহরণেরদিন আমার ভাতিজির বাড়ীতে যাওয়ার পথেমধ্যে যে কোন স্থানে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতা থাকা আমার মেয়েকে বিবাহের প্রলোভন সহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখাইয়া অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বিবাদীদের সহায়তায় অজ্ঞাতনামা যানবাহন করে আমার মেয়েকে অপহরণ করিয়া অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে চলিয়া যায়।
পরবর্তীতে আমি থানায় অভিযোগ করিতে আসিলে আসামীদ্বয় পথেমধ্যে আমার সহিত মিলিত হইয়া বলে যে, আমার মেয়েকে ফেরত দেবে বলিয়া আশস্থ করিয়া থানায় কোন অভিযোগ দায়ের না করিয়া মর্মে বাড়ীতে ফেরত যাইতে বলে এবং বিবাদীগন আমার মেয়েকে ফেরত না দিয়ে আজ কাল করিয়া সময় ক্ষেপন করিলে আমার নিরুপ হইয়া স্থানীয় ভাবে ঐ এলাকার চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রতিবেশিদের ডাকিয়া আমার মেয়ের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বিবাদীগন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং আমার মেয়েকে ফেরত দিবে মর্মে আরো সাত দিনের সময় চায়। বিবাদীগনের দেওয়া সময় পার হয়ে গেলেও আমি বিবাদীগনের কাছে আমার মেয়ের দাবি করিলে বিবাদীগন আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করিতে থাকে।
হরিনচড়া ইউপি সাবেক সদস্য খগেন্দ্র নাথ রায় জানান, অনেক খোঁজাখোঁজির পরে ওই স্কুল ছাত্রীকে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে মেয়ের বাবা গতকাল ডোমার থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন, ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হামিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। মেয়েটিকে তার পরিবারে কাছে হস্তান্তর করতে অনেক চেষ্টা করছি । পরে তারা ছেলে মেয়েকে কি করেছে আর জানি না।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহসীন আলী জানান, সাধারণ ডায়রী পেয়েছি আমরা দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেব।