নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাম্প্রতিক সময়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল সংকট কাটিয়ে উঠতে টেন্ডারের মাধ্যমে শাহ-আমানত এন্টারপ্রাইজক-চট্টগ্রাম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয় রেলওয়ে চট্টগ্রাম পরিবহন বিভাগ। এখানে গঙ্গাসাগর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগের মোট ১১৯ জন আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগ হয় নতুন -পুরাতন মিলে। এই নিয়োগ কার্যক্রমে অবৈধভাবে লেনদেনের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ উঠে অস্থায়ী গেইট কিপার টিএলআর কর্মচারীদের চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেনের নামে। অভিযোগের অনুসন্ধানে দেখাযায় দেলোয়ার হোসেনের ভয়েস রেকর্ডে নিয়োগ বানিজ্যের সাথে এডিশনাল সিওপিএস জনাব জাকির হোসেন, যুগ্ম-মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার মান উল্লেখ্য করেন সিন্ডিকেট এজেন্ট দেলোয়ার হোসেন। উ
উক্ত নিয়োগ বানিজ্যের কথা রেল অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়লে রেলওয়ে মহাপরিচালক দপ্তর সহ চট্টগ্রাম রেল পাড়ায় এক অস্থিরতা শুরু হয়। অনুসন্ধানে দেলোয়ার হোসেন বলেন নিজ জবানবন্দিতে ১,৭০,০০০ হাজার থেকে ২,৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হচ্ছে এবং সে ব্যবস্থা করবে। টাকার রেট বেড়ে যাওয়ায় ও চাকুরী প্রার্থী বেশী হওয়ায় কর্মকর্তা কম টাকায় নিয়োগ দিবেনা বেশী টাকা লাগবে। আজ দুপুরে রেলওয়ে সূত্র মতে জানা যায় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক চট্টগ্রামের নির্দেশনায় দেলোয়ার হোসেনকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সিন্ডিকেটের দোষীদের শাস্তি ব্যবস্থা করার জোর দাবী তুলেছেন রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচাীগন। রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের একটি অংশ বলছে টিএলআর থেকে আউটসোর্সিং প্রতিটি নিয়োগেরই এডিশনাল সিওপিএস জাকির হোসেনের নাম জড়িয়ে আসে অথচ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনা কেন তা কর্মচারী ও সচেতন মহলের বোধগম্য নয়। ঘটনার সূত্র ধরে আগালে দেখা যায় জাকির হোসেন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা বদলী হলেও রেলভবন অফিস না করে চট্টগ্রামে পড়ে আছেন তাহলে কি নিয়োগ বানিজ্য সম্পূর্ণ করতেই তিনি চট্টগ্রামে।
রেলওয়ে অস্থায়ী টিএলআর কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করণের জন্য ২০২৩ সালে আব্দুল আজিজের মাধ্যমে ৬০৯ জনের বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেন রীট পিটিশন করে রেলওয়ের বিরুদ্ধে। এখানেও বিপুল অর্থের ঘাপলা আছে বলে দাবী করছে রেলওয়ে সূত্র।
সচ্ছ রেল ব্যবস্থায় দেলোয়ার হোসেন সহ সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি তুলেছেন রেলওয়ে কর্মচারীরা।