এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফলে হঠাৎ করে চুরির প্রকোপ বেড়ে গেছে। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জনসাধারণ। দেখা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলার অবনতি। একেরপর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। এমনই চুরির ঘটনা ঘটেছে ডাকাতি স্টাইলে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাঝপাড়া গ্রামে। এতে ভুক্তভোগী পরিবার অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন কে বিবাদী করে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিনে কথা হয় বাদী ভুক্তভোগী মোঃ জাহিদুল ইসলামের সাথে। তার বাড়ি ওই গ্রামে, তিনি মৃত আঃ সালাম রাড়ীর ছেলে। তিনি বলেন, আমার বাবা ২ হাজার সালে মারা যায়। আমার মাকে নিয়ে খুব কষ্টে বড় হয়েছি। পরে বিবাহ সাদী করে একটা ছোট দোকানঘর তুলে ব্যবসা করে আসছি। পুরান বাড়ি রেখে রাস্তার পাশে নতুন ঘর তুলে বসবাস করছি। রোববার (২৪শে নভেম্বর-২৪) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ৩/৪ জনের একটা দল ঘরের সিদ কেটে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে এসে আমাকে, আমার মা ও আমার স্ত্রী কে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে আলমিরা থেকে ১৫ হাজার টাকা, আমার স্ত্রী ও আমার মায়ের কানের ২ জোড়া স্বর্নের রিং, ১টা স্যামসাং ও একটা বাটন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। তবে আমি কাউকে চিনতে পারিনি।
স্থানীয়রা জানান, এ গ্রামে একেরপর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। এ ঘর চুরির আগের দিন আগে আরেক বাড়ি চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পরিবার টি গরীব মানুষ। যেন হঠাৎ করে চুরির হিড়িক পড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ জানমাল নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। প্রশাসনকে বলবো দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
এব্যাপারে স্থানীয় বিএনপি নেতা জিয়া মৃধা বলেন, আসলেই এমন চুরির ঘটনা নেক্কারজনক। এমন পরিস্থিতিতে নিশ্বো করে যায় পরিবার গুলো কে। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের কাছে অনুরোধ রইল দ্রুত ব্যবস্থা নিক। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।
এবিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুব আলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দোষীদের শনাক্তে আমাদের তদন্ত চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।