অথই নূরুল আমিন
সেই নব্বই দশক থেকে অগোছালো আর প্রতিহিংসার রাজনীতির থাবায় পরেছে দেশের এক শ্রেণির জনগণ। কোন রাজনৈতিক দলের কাছেই মূলত সাধারণ জনগণের কোন কদর ছিল না কখনো। রাজনৈতিক দলগুলো প্রথমত সমাজের অসৎ লোক গুলোকে পদ পদবী দিয়ে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলার হাইকমান্ড মনে করে চালাক লোক গুলোই তাদের দরকার।
রাজনৈতিক দলের বাটপার নেতা গুলোর কাছে আজীবন সাম্য, ভদ্র এবং নিরীহ জনগণ সবসময়েই তুচ্ছ ছিল। এমনকি জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এমপি,মেয়র, চেয়ারম্যান এমনকি মেম্বার গুলো পর্যন্ত খারাপ আচরণ করেছে জনগণের সাথে সবসময়।
আজকে যেহেতু রাষ্ট্র সংস্কার কাজ চলছে। সে ক্ষেত্রে সর্বস্তরের জনগণের সমান অধিকার যেন থাকে। সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সকলের। কেউ খাবে কেউ খাবে না। তা যেন না হয়। দেশের সকল শ্রেণির নাগরিকেরা দেশ উন্নয়নে সমান অধিকার রাখে। যার যার জায়গা থেকে। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
ধনী গরিবের প্রার্থক্য একটা সমাজে থাকতেই পারে। যদিও কাম্য নয়। তাই বলে একটা সরকার কেন সেই প্রার্থক্য দেখাবে। আজকে কয়েকদিন ধরে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। তা ধরতে গেলে সীমাহীন। যেমন প্রতিটি সিগারেটে দুই টাকা হারে বেড়েছে। সরকার এখান থেকে মোটা অংকের ভ্যাট পাচ্ছে। এই সিগারেট ধনীরা যেমন খাচ্ছে। গরিবেরাও তদ্রুপ। আগামীকাল হয় তো তেল এবং চিনির মূল্য বাড়বে। তেল এবং চিনি শুধুমাত্র ধনীরা কিনবে তা কিন্তু নয়। গরিবেরাও কিনবে। এখান থেকেও সরকার ভ্যাট পাবে।
আমার মতে একটা সরকারের কাছে দেশের সকল নাগরিক সমান অধিকার পাবে। যার যার জায়গা থেকে, এটাই হোক আগামী দিনের রাষ্ট্র সংস্কার। বিগত সময়ে লক্ষ্য করে দেখেছি। এই সমাজে তারাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা সমাজের বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত রয়েছে। যারা সরকারি দলের সাথে দালালী করেছে। ঠিকাদারি করেছে। তারাই সমাজে ধনী হয়েছে।
অনেকেই এরকম অসৎ ভাবে ধনী হতে চায় না। অনেকেই অসৎ হতে চায় না। তাই তারা আর বেশি দুর এগিয়ে যেতে পারেনি। শুধু রাজনৈতিক দল গুলোর একক অবহেলায়। এখানে যদি সবসময় চোর বাটপার ধরনের লোকেরাই সবসময় এগিয়ে থাকে ভালো এবং সৎ লোক গুলো সবসময় পিছনেই পরে থাকে। তাহলে দিনদিন ভালো মানুষের সংখ্যা কমে আসবে হয়তো। সরকারের একান্ত ইচ্ছে থাকলে সবার জন্য সমান হারে কিছু করা সম্ভব।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী