ইত্তিজা হাসান মনির

বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ নিজেকে ওয়ারিশ দাবী করে ব্যবসা করার জন্য স্টলের নামে দখলে নিয়েছে ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জাহিদ মাস্টার।

জাহিদুল ইসলাম আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এবং সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক।

অত্র আঠারোগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরা মাঠটি ব্যবহার করে আসছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক সহ এলাকার বিভিন্ন খেলা ধুলা ধমীয় অনুষ্ঠান বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই বিদ্যালয় মাঠ। এলাকার সকল মানুষ অবহিত এই মাঠটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।

এক বছর আগে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন হিরু নিজের আর্থিক সহযোগীতায় বালু দিয়ে ভরাট করে দেন। তখন এই দখলদাররা কোন প্রতিবাদ বা জমির দাবী করেননি। ৪০ বছরে মাঠটি দখলে না নিলেও বিপত্তি হয়েছে ৫ ই আগষ্ট ক্ষমতা পালাবদলের পরই। বিদ্যালয়ের জমি দখলে নেয়ার জন্যই পায়তারা শুরু করে এই জাহিদুল ইসলাম।

বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের অভিযোগ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করলেও কোন সমাধান পাচ্ছেন না। বরং অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত হুমকির সমুখিন হচ্ছে বিদ্যালয় শিক্ষকগন।

জাহিদুল ইসলাম আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। দখলে নেয়া সম্পত্তি ভোগ দখলে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় স্কুলের শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন মালা নামের এক মহিলার মাধ্যমে।

দখল হওয়া মাঠের ভিতরেই পুরাতন একটি টিনসেট রয়েছে সেই ঘরটি আগে স্কুলের অফিস হিসাবে ব্যবহার হত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মসজিদের জন্য দান করা ইট সারি করা আছে দখলকৃত সম্পত্তির পাশেই। দখলে যাওয়ার পর মসজিদ নির্মান করতে পারছেনা। পুকুরের উপর সাকো দিয়ে মুসুলীরা প্রত্যহ নামাজ পরছে সে জন্য মসজিদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে জমি দখলের পায়তারা করছে জাহিদুল ইসলাম।

আঠারোগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবর রহমান বলেন প্রায় চল্লিশ বছরের স্কুলের জমিতে আমরা ঘর করে ব্যবহার করে আসছি রোজার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় মাঠটি দখলে নিয়েছে জাহিদুল সহ অন্যরা আমি বিভিন স্থানে অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা দখলে যাওয়া স্থানটিতে আমাদের একটি কক্ষ রয়েছে এবং সেখানে স্কুলের অফিস ছিল। মসজিদের জন্য ইট রাখা আছে সেই জমি দখল করে নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জাহিদুল বলে আমার ফুফুদের সম্পতি বিগত বছর স্কুলের মাঠের নামে দখল করে রেখেছে এখন সুযোগ হয়েছে মালিক পক্ষ দখলে নিয়েছে আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।