স্টাফ রির্পোটার
শ্রম অধিদপ্তর অফিসের পিয়ন মোফাজ্জল হোসেন আসলেন আদালতে জামিন দিতে। গত ৮ ই অক্টোবর ময়মনসিংহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দূর্নীতি এবং প্রতারণার অভিযোগে আসামি তিনি আসলেন জামিন নিতে শ্রম অধিদপ্তর অফিসের পিয়ন মোফাজ্জল।
নিজস্ব সূত্রে জানা যায় দূর্নীতি, প্রতারণার এবং বিভিন্ন একাদিক মামলায় অভিযুক্ত থাকার কারণে আদালতে আসেন মোফাজ্জল অফিস ফাঁকি দিয়ে কিছু দিন পর পর অফিসে মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করে । মোফাজ্জল ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া গ্রামের সরদার বাড়ির মরহুম আব্দুল আজিজ এর ২য় পুত্র। মোফাজ্জল আনুমানিক ৩০ বছর পূর্বে এই পিয়নের চাকরিতে জয়েন করেছেন। সে রাজধানী (ঢাকার) কাকরাইল শ্রম অধিদপ্তর অফিসের পিয়নের কাজ করেন। তার কর্মস্থল সূত্রে জানা যায় যে,, তার নিজ কর্মস্থলেই দূর্নীতি এবং প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি নিজে একজন সরকারি চাকুরীজিবী হয়ে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে সে নিজেই বাদি হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন ৯ থেকে ১০ জনের নামে । নিরপরাধ মানুষের কাছে থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে অনেক টাকা। এছাড়াও জানা যায় যে মোফাজ্জল তার নিজ এলাকায় অন্যের জমি দখলও করেছেন। এবং একই জমি জাল কাগজের মাধ্যমে বারবার বিক্রি করেছেন এই মোফাজ্জল। এমনই প্রতারণা এবং দূর্নীতির কারণে একাধিক মামলা রয়েছেন তার বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জানা যায়।
গত কয়েকবছর আগে ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া গ্রাম অর্থাৎ তারই নিজ গ্রামের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের পুত্র মোঃ নাজমুল হাসান এর কাছ থেকে জমি বিক্রয়ের কথা বলে অগ্রিম প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা একাধিক কিস্তির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন। ভুক্তভোগী নাজমুল হাসান এবং অভিযুক্ত মোফাজ্জল সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা হয়। যার কারণেই নাজমুল তার চাচা মোফাজ্জল কে বিশ্বাস করে অগ্রিম এতগুলো টাকা দিয়ে দেই। কিন্তু নাজমুল এর কাছথেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার পরেও কথামতো জমি লিখে দেইনি মোফাজ্জল। মোফাজ্জল কে জমি সাব কাওলা দেওয়ার কথা বললে অভিযুক্ত মোফাজ্জল এবং তার স্ত্রী মোছাঃ শাহানাজ বেগম বিভিন্ন অযুহাত দেখায় এবং জমি সাব-কাওলা দিতে অস্বীকার করেন।
উপরোক্ত ঘটনার মতো এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছেন পিয়ন মোফাজ্জল এর বিরুদ্ধে। কয়েকটি মামলা এখনো চলমান আছে বলে জানা যায়।
মোফাজ্জল শ্রম অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নাম করে বেকারদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
ভুক্তভোগী বিভিন্ন ব্যাক্তিরা মোফাজ্জল এর সঠিক বিচারের দাবিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন মানুষের ধারে ধারে। এসকল বিভিন্ন মামলায় নং ৪০৬/৪২০ অভিযুক্ত মোফাজ্জল গত ৮ই অক্টোবর সকলে ময়মনসিংহ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন ঢাকা সময় নিউজ এর ক্যামেরায় দরা পরেন ।
ভুক্তভোগী বিভিন্ন ব্যাক্তিরা মোফাজ্জল এর সঠিক বিচারের জন্য অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে বিচার চান এখন সে প্রতারণা এবং দূর্নীতির মামলার জামিন নিয়ে আদালতের বাহিরে আছেন।