জুলহাস আহমেদ, বরগুনা:
আজ ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটির জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা তার আলোচনায় বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের যা করতে হবে-
নিয়মিত বাজার মনিটরিং
মোবাইল ফোনে পন্য বৃদ্ধি না করা
সিন্ডিকেট প্রতিহত করা
যৌক্তিক মূল্যে পন্য বিক্রয়
সরকার নির্ধারিত মূল্যে পন্য বিক্রয়
লাইসেন্স বিহীন পাইকার এবং ফরিয়ারি উপস্থিত না থাকে তা নিশ্চিত করা
মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা
নৈতিকতা অবলম্বন করে ব্যাবসা পরিচালনা করা
কৃষি বিপণন আইন ২০১৮,বিধিমালা ২০১৯ এ দ্রব্যমূল্য বিক্রয় করা।
ডিম ব্যাবসায়ী ফোরকান বলেন, আমাদের বরগুনায় ডিম উৎপাদন হয় না, এগুলো সরুপকাঠি থেকে আনতে হয়, ওখান থেকে যে মূল্য কাটে সেভাবে আমরা হালিতে ২ টাকা ব্যাবসা করে বিক্রি করি।
কাঁচাবাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি পাভেল আহমেদ বলেন, বরগুনায় হিমাগার নাই তাই আলু পিয়াজ মজুদ করা সম্ভব নয়। আমরা এক সপ্তাহের পন্য ক্রয় করে আনি। আলু পিয়াজ পচনশীল পন্য তাই বেশি মাল একসাথে আনা যায়না।
এনএসআই কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, বাজার দ্রব্যমূল্য ঠিক আছে, বরগুনায় সিন্ডিকেট নাই, এখানে সবাই লোকাল ব্যাবসায়ী তাই সেরকম সিন্ডিকেট করার সুযোগ নেই।
এনটিভি বরগুনা জেলা প্রতিনিধি এ্যাড. সোহেল হাফিজ বলেন, আপনাদের অবজারভেশন সাধারণ মানুষ জানছে না, তারা তো দোকানদার যা চায় তাই কিনে নিয়ে যায়, তাই খুচরা বিক্রির দোকানে পন্যমূল্য তালিকা থাকা জরুরি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধা বলেন, গোডাউন থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত মনিটরিং করা দরকার, বরগুনা চেম্বার অপ কমার্স, পুলিশ প্রশাসন মিলে সবাই বসে যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিকভাবে মনিটরিং করতে পারি তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এই মূহুর্তে আমরা যদি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারি তাহলে রাষ্ট্র তথা সরকার হুমকির মুখে পরবে।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা বলেন, গত বছর এই সময়ে পন্যের মূল্য যা ছিলো এবছর তার দিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশে এমন কোন পরিবর্তন হয়নি যাতে পন্যের মূল্য দ্বিগুণ হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হয়তো পন্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ের চলে আসবে।
বরগুনা পৌরসভার মেয়র এ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, আলু, পিয়াজ, ডিম সহ সকল পন্য বরগুনা বাজার সঠিকভাবে রয়েছে। পন্য মূল্য জাতীয়ভাবে বৃদ্ধি তাই এ বিষয়ে বরগুনা থেকে কমানোর কোন সুযোগ নাই। এগুলো কেন্দ্রীয় ভাবে কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বরগুনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আজকের মিটিংয়ের একটাই উদ্দেশ্য যাতে সাধারণ মানুষ তাদের সাধ্যের মধ্যে পন্য ক্রয় করতে পারে তাই সকল ব্যাবসায়ীদের অনুরোধ করবো যাতে তারা কোন সিন্ডিকেট তৈরি না করে। আসা করছি অসাধু ব্যাবসায়ীরা যাতে সিন্ডিকেট করতে না পারে সে বিষয়ে প্রকৃত ব্যাবসায়ীদের সজাগ থাকবেন।
বরগুনা চেম্বার অপ কমার্সের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বানিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যার্থ, সরকার কেন বাজার মনিটারিং করেনা, সরকার চাইলেই পন্যের দাম কমাতে পারে, আমি বলবো ব্যার্থ বানিজ্যমন্ত্রণালয়। আমাদের তো সব কিছুই আছে তাহলে সবকিছুর দাম এতো বৃদ্ধি কেন, সরকার তো জানে সিন্ডিকেট কারা কারা তাহলে তাদেরকে ধরে না কেন। লোকালে বৈঠক করে লাভ কি, এখানে কেউ দাম বাড়ায় কমায় না।
জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা লাইসেন্স নিয়ে, আইন মেনে সঠিকভাবে ব্যাবসা পরিচালনা করবেন, সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই আপনাদের সকলকে সঠিক ভাবে আইন মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি।