এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর দশমিনায় মৌসুমী আক্তার দুলু (৩২) নামে এক গৃহবধূ হত্যার হত্যাকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ ও কুখ্যাত খুনি দিপু সহ অন্যান্যদের বিচার ফাঁসির দাবিতে উত্তাল এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল সহ মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের মোল্লার হাট নামক স্থানে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়। এসময় নিহতের মা, ভাই, বোন ও আত্মীয় স্বজনরা সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ই নভেম্বর রোববার দশমিনা উপজেলা সদরের নলখোলায় চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগের ভাড়া বাসা থেকে তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার দুলুর লাশ উদ্ধার করেন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ নিজেই। এরপর থেকে পরিবারের পক্ষথেকে দাবি করা হচ্ছে মৌসুমী আক্তার দুলুকে তার স্বামী আসাদুজ্জামান সোহাগ চেয়ারম্যান নিশংসভাবে হত্যা করেছে। এঘটনায় গত সোমবার ৬ই নভেম্বর পটুয়াখালী নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালে মৃত মৌসুমী আক্তার দুলুর ভাই মনিরুজ্জামান বিপ্লব বাদী হয়ে বহরমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগকে প্রধান আসামি ও কুখ্যাত খুনি দিপুকে সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলাটিকে এজাহার হিসাবে গ্রহণ করার জন্য আদেশ প্রদান করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামি আসাদুজ্জামান সোহাগ একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তার চাচা আব্দুল আজিজ মিয়া দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিন সন্তানের জননী মৌসুমী আক্তার দুলুকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ করে। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সে প্রায়ই স্ত্রী মৌসুমীর ওপরে যৌতুকের দাবিতে অমানষিক নির্যাতন করতো। এবং ঘটনার সময় চেয়ারম্যান কর্তৃক সন্ত্রাসী দিপু সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে এবং হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে।
মৌসুমী আক্তার দুলু উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগের দ্বিতীয় স্ত্রী। এবং মোল্লার হাট এলাকার বাসিন্দা মৃত ফিরোজ আল রারীর মেয়ে।