নিজস্ব প্রতিবেদক::
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর রজ্জবিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
গত ১২ই নভেম্বর ২০২৩ ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাদ্রাসার সাবেক সদস্য মোঃ কুদ্দুস গাজী। অভিযোগ আমলে নিয়ে তা দ্রুত তদন্ত পূর্বক তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন কে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জাহিদুল হক একজন দূর্নীতিবাজ। সে মাদ্রাসায় একক আধিপত্য বিস্তার করে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে চলছেন। বিশেষ করে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষের টিন খুলে আত্মসাৎ সহ ২০১৪ সালে সরকার পতনের আন্দোলনের নামে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে উজাড় করেন। যাহার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় ২ মাস জেল খাটেন। এবং জেলখানায় থেকে ততকালীন সুপার কে ম্যানেজ করে বেতন ভাতা উত্তোলন করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেন। মাদ্রাসায় বেআইনি ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ইবতেদায়ী ক্বারী মোঃ আইয়ুব আলী যাহার ইনডেক্স নং ৩৬৮২৫৮ কে সহকারী শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়ে অবৈধ ভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। এবং ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে ৬ মাসের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারিবেনা কিন্তু সে প্রায় দুই বছর দুই মাস অবৈধ ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এদিকে আরও জানা যায়, সাবেক সুপার শাহাবুদ্দিন আল মামুন গোপনে গত ৫/৯/২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সমাজ বিজ্ঞান পদে মোঃ জাহিদুল হককে পদোন্নতি দেন। আবার ২/১/২০২১ সালে সাবেক সুপার শাহাবুদ্দিন আল মামুন রেজুলেশনের মাধ্যমে তা বাতিল করেন। কিন্তু জাহিদুল হক (ভারপ্রাপ্ত সুপার) কোন আইনের বলে মার্চ ২০২২ সালে সমাজ বিজ্ঞান সহকারী শিক্ষক হিসেবে বেতন ভাতা প্রদান করেন? রয়েছে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনে প্রশ্ন। এবং জাহিদুল হক একজন জামায়াতের রোকন তা গোপন রেখে সুপার হওয়ার জন্য সভাপতির কাছে সহ বিভিন্ন ভাবে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে বিষয়টি তদন্ত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন করে দ্রুত তদন্ত পূর্বক তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। তাই তদন্ত চলছে, দ্রুত রিপোর্ট ইউএনও স্যারের কাছে প্রেরণ করা হবে। তারপর স্যার যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।