মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
মাত্রই শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।৭ই জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি।ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ,প্রভাব পড়ছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর।তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিহিংসার রাজনীতিতে থেমে নেই টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় আসন এলাকায়।এই আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে মাত্র দুইজন প্রার্থী।তার মধ্যে একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ৫ বারের ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু।নির্বাচনে জয়লাভ করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ।
জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অনেক নেতৃবৃন্দ এই সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে সমর্থন জানান। নির্বাচন ৭ই জানুয়ারি রবিবার শেষ হলে জয়লাভ করেন নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভ।
আজ শুক্রবার (১২ই জানুয়ারি) দুপুর ২ টার সময় টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের স্বতন্ত্র থেকে নব নির্বাচিত এমপি আমানুর রহমান খান রানা ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দিকে যাওয়ার সময় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সামনে বিরতি দেন এবং তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়।পরে এমপি আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর বাসায় আসেন।
পরে গোড়াই ইউনিয়ন (পূর্ব) যুবলীগের সভাপতি সোহেল ভুইয়া তার বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তা আটকিয়ে তাকে মারধর করেছে এমপি শুভর কর্মী যুবদলের সভাপতি সোহেল খান।পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এরপর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি আজমল স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে আসার সময় তাকে উল্টাপাল্টা পেটানো হয়েছে ও তার মোটরসাইকেল ভাঙ্গচুর করেছে এমপির কর্মী গোড়াই ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সোহেল খান,মন্জুরুল আলম প্রিন্স,মীর উজাস,মীর টিপু সহ অনেকেই।তারা আরো মারধর করেছে গোড়াই দক্ষিণ নাজিরপাড়ার শের আলী,সাজ্জাদ সহ মোট ৪-৫ জনকে,গাড়ি ভাঙ্গচুর করেছে ৪-৫ টি।জানা যায়,হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র,লাঠি,রামদা,দা সহ বিভিন্ন কিছু হাতে নিয়ে এই হামলা চালায়।তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এতে উপজেলার নেতৃবৃন্দদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বলেন,এমন জঘন্যতম কাজ করা মোটেও ঠিক হয় নি।নির্বাচন যেকেউ যেকারোটা করতে পারে এটা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন করেছি।নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করেছে এবং আমরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।নির্বাচনের পর এমপি খান আহমেদ শুভর পালিত কর্মী গোড়াই ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও শ্রমিক দলের সভাপতির নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে,আমার বাড়িতে,আমার কর্মীদের ও মোটরসাইকেলে হামলা ও ভাঙ্গচুর করেছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন,আমি এসব কিছুই জানিনা।আমার বাড়িতে মেহমান আসছে,তাদের সাথে কথা বলতেছি।পরে হঠাৎ শুমলাম আমার বাড়িতে নাকি আক্রমণ করছে এমপির কর্মীরা।অনেকেরেই মারধর করছে,গাড়ি ভাঙ্গছে।নির্বাচন যেকেউ যেকারোটা করতে পারে।আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।