এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া বাজার সংলগ্ন উওর পাশে ভাংগারির নব দোকানঘর প্রকাশ্য দিবালোকে দা দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করে জায়গা জবরদখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে জসিম হাওলাদার নামে একজনের বিরুদ্ধে। এতে ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর নাম মোসাঃ সুমনা বেগম (৪০), তিনি কাছিপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মৃত মোঃ বজলুর রহমান মোল্লার মেয়ে। আর দা দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করা ব্যক্তির নাম মোঃ জসিম হাওলাদার (৪২), তিনি একই এলাকার বাসিন্দা মৃত মোঃ রত্তন আলী হাওলাদারের ছেলে।
সরেজমিনে ভুক্তভোগী মোসাঃ সুমনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, পৈত্রিক সূত্রে আমি বাবার জমিজমা ভোগদখল করে আসছি। কারন আমরা তিনবোন এক ভাই। ভাই সহ অন্যান্য বোনরা চাকরির সুবাদে দুরে থাকায় জমিজমা আমি ভোগদখল করে আসছি। তাই মেইন সড়কের পাশে আমাদের ভাংরি মালামাল রাখার জন্য একটি দোকানঘর টিন কাঠ দিয়ে নির্মাণ করে তার ভীতর ভাংগারির মালামাল রাখছি এমন সময় জসিম হাওলাদার প্রকাশ্য দিবালোকে হাতে দা নিয়ে এসে এবং আমার পাশের ঘরের হানিফ খান একজোট হয়ে জনসম্মুখে কুপিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর চালায়। তাতে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন বাধা-বিপত্তি করলে কুপিয়ে খুন করবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। যাহার ভিডিও আমার কাছে রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়রাও অবগত। তাই ওই রাতেই বাউফল থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন তারা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তাই তাদের বিচার দাবি করে সুরাহা দাবি করছি।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনা সত্য। তবে ওই জায়গা ওই মহিলার পৈত্রিক সম্পত্তি। আবার জসিম হাওলাদারও নাকি কবলা সূত্রে মালিক।
সরেজমিনে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে জসিম হাওলাদার বলেন, আমি সুমনা বেগমের মা’য়ের কাছ থেকে যে জমি কবলা করেছি, তা সেই জমি ওই জমি। তারা আমার কবলাকৃত জমিতে দোকানঘর করলে নিষেধ করেছি এবং এব্যাপার স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ তার সহধর্মিণী উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মরিয়ম নিশুকে জানালে তিনি বলেছেন আমাদের উভয় পক্ষকে সামনে নিয়ে জমি মাপজোপ করে দিবেন।
এব্যাপারে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোসাঃ মরিয়ম নিশু বলেন, এ সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। এবং তা আশা করছি উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে তা সমাধান করা হবে।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এবং এব্যাপারে স্থানীয়রা দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তাই আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।