1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
Title :
বিএমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আবু জাফরের ৪৯তম জন্মদিন আজ মুভি বাংলা টিভির সাংবাদিক কে মারধর, ক্যামেরা ছিনতাই প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা মুয়াজ্জিন চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দিলেন বিএনপি নেতারা সদরপুরের চরবিষ্ণুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ বাউফলে চাঁদাবাজি মামলায় বিএনপি নেতাসহ গ্রেফতার ২ আলেমদের বাদ দিয়ে দেশ সংস্কার সম্ভব নয় – মুফতি ফজলুল করিম চরমোনাই শহীদ আবরারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকি উপলক্ষে গাজীপুরে ছাত্রদলের মৌন মিছিল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ফুলছড়িতে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি

বেশুমার লুটপাট ও ক্ষমতার দাপটে বেপরোয়া কাস্টম কর্মকর্তা ড. তাজুল!

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ৪৩৮ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি :

★হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ !
★নামে বেনামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ!
★বিপক্ষে গেলেই যখন তখন হত্যার হুমকি!

সংবাদমাধ্যমে বহুল আলোচিত সমালোচিত এই কাস্টম কর্মকর্তা ড. তাজুল ইসলাম। লালন পালন করেন নিজস্ব ক্যাডার ও সন্ত্রাসী বাহিনী। অদৃশ্য ক্ষমতায় তাজুল এখন বড়ই দাপুটে, প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিতেও বুক কাপে না তার। নিজেকে সকল ক্ষমতার অধিকারী মনে করা তাজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। শত অভিযোগ পাত্তাও পায় না তাজুলের অদৃশ্য ক্ষমতার কাছে, সকল অভিযোগ তুচ্ছ করে নিজের অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহার স্বচল রাখেন বীরদর্পে।
ড. তাজুল ইসলামের ক্ষমতার যাতাকলে পৃষ্ট হয়ে,ময়মনসিংহ জেলা, ফুলবাড়িয়া উপজেলার এক বাসিন্দা মেহেদী হাসান খান ২০২৪সালের ১৯ শে মার্চ কাস্টম কর্মকর্তা ড. তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সবগুলো ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার হেড অফিস এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ মোট ২৬ টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় বরাবর তাজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রে তাজুলের বিভিন্ন অসংগতি, অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, যখন তখন হত্যার হুমকি এবং তাজুলের অবৈধ সম্পদের পাহাড় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন একই জেলার বাসিন্দা মেহেদী হাসান খান। অভিযোগ পত্রে মেহেদী হাসান খান উল্লেখ করেন নাগরিক হিসেবে আমার কিছু মৌলিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু দুঃখ ও গভীর উদ্বেগের বিষয়, আপনার অনুগত কর্মকর্তা, জনাব ড. তাজুল ইসলাম একজন ভয়স্কর ও সরকারি ক্ষমতার তীব্র অপব্যবহারকারী কর্মকর্তা। যা তিনি আমার নাগরিক জীবনে বারবার আমাকে ও আমার বাবাকে হত্যার হুমকি প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণিত করেছেন এবং সমাজে উনার হুমকি ধামকিসহ সামাজিক ও পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া লোকটির নানাবিধ সামাজিক ও রাজনৈতিক বিতর্কিত কর্মকান্ড লােকটিকে আরাে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ।
২০২৪ সালের ২৭শে ফেব্রয়ারি আমার দাখিলকৃত অভিযােগ পত্র প্রাপ্তির পর ড.তাজুল আরাে বেপরোয়া, ক্ষিপ্ত ও হিংস্র হয়ে আমার পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নােঙ্গর কমিউনিটি সেন্টার ও আমার গ্রামের বাড়ীতে গােলাম মােস্তফার নেতৃত্বে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার নিমিত্তে ৭০ জন সন্ত্রাসী পাঠায়। এ খবর শুনে ভয়ে আতঙ্কে আমরা বাড়ী থেকে পলায়ন করি। আমাদেরকে না পেয়ে উনার পালিত সন্ত্রসী বাহিনী আমার চাচাতো ভাইয়ের নিকট তাদের আক্রোশ ও হিংস্রতার কথা জানিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসী গােলাম মােস্তফা আমার ব্যক্তিগত ফোনে কল করে বলে, “তাজুল সরকারি ফান্ডের টাকা লুটপাট
করেছে, আমাদের ফুলবাড়ীয়াতে তো লুটপাট করছেনা। সরকারি ফান্ড থেকে লুটপাট করে এখানে (ফুলবাড়ীয়ায়) এনে দিচ্ছে।
এলাকার লোকজনকে সরকারি চাকরি দিচ্ছে। আঃ মালেক সরকার যতদিন এমপি আছে ততদিন ড.তাজুল ও আঃ মালেক সরকারের বিররুদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না বলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে পুনরায় গত ০৯ ই মার্চের কলেজ কর্তৃক (মাননীয় সংসদ সদস্যের সংবর্ধনা) অনুষ্ঠানে গােলাম মােস্তফা পুণরায় প্রকাশ্য জনসভায় ড.তাজুল,আনন্দ মােহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহু, ইউএনও,ফুলবাড়িয়া থানার ওসি এবং সাংসদ সদস্য’র উপস্থিতিতে আমাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নােঙ্গর কমিউনিটি সেন্টারে তালা মেরে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমরা দেশের উত্তম নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র তথা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও নিরাপদ বোধ করছিনা। জীবননাশের আশঙ্কায় গত ১ মাস যাবৎ আমি আমার প্রিয় জন্মস্থান ফুলবাড়িয়ায় পর্যন্ত যেতে পারছিনা। এমন আতঙ্ক ও উদ্বেগ নিয়ে স্বাধীন দেশের কোন নাগরিক, আমি এবং আমার বাবা সাবেক সামরিক কর্মকর্তার বেঁচে থাকা অত্যন্ত লজ্জা ও অপমানের।
“জোবায়ের রহমান তৌহিদ” নামক তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে বারবার ফোন কলে,ম্যাসেঞ্জারে এবং পরবর্তীতে আমার বাড়ীতে এসে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দেয়। সেই সন্ত্রাসীকে ২০২৪ সালের ৯ মার্চ ফুলবাড়িয়া কলেজ কর্তৃক এম পির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড.তাজুল বক্তৃতা দেওয়ার সময় ড.তাজুলের পিছনে সন্ত্রাসী কায়দায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এমতাবস্থায় আমরা চরম উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কের মাঝে দিনাতিপাত করছি।
তাঁর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমেই আমিরুল ইসলাম কাজল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী সাথে নিয়ে গিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি প্রদান করে আসে। এতে আমার বাবা অবঃ সামরিক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন চরম উদ্বিগ্নতায় ভোগেন। ড.তাজুলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শােয়েব একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দেন।
ড.তাজুলের একক প্রচেষ্টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে বলে সমগ্র উপজেলা জুড়ে প্রচারিত। জাতীয় নির্বাচন চলাকালীন সময়ে উনার বাড়ীকে নির্বাচনী কেন্দ্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গুঞ্জন রয়েছে নির্বাচনের আগের রাতে উনি প্রশাসনের লােকজন নিয়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় মিটিং করেন এবং নির্বাচনের দিন ভােট গণনার সময় উপজেলা পরিষদে অবস্থান নেন। ড.তাজুল ফুলবাড়ীয়ার রাজনীতিতে এক ত্রাসের নাম। ড.তাজুলকে ফুলবাড়ীয়ার অভিভাবক হিসেবে আখ্যায়িত করে স্বয়ং মাননীয় সাংসদকে প্রত্যেকটা প্রোগ্রামে বলতে দেখা যায়। নির্বাচনের দিন বেসরকারিভাবে রেজাল্ট গণনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ের সাথে সাথে ঐ রাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী, ড.তাজুলের বাড়ীতে মিষ্টি ও ফুলের মালা নিয়ে হাজির হন। পরবর্তীতে সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের পরপরই ঐ দিন সকালেই ড.তাজুলকে উনার নয়াপল্টেনের অফিসে ফুলের তোড়া নিয়ে শুভেচ্ছা জানান মাননীয় এমপি মহােদয়। এই শুভেচ্ছা বার্তা তাজুলের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী সামাজিক যোগাযােগ মাধ্যমে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচারণা চালায়। এমতাবস্থায় একজন সরকারি চাকুরীজীবির হাতে সংসদ সদস্যসহ যফুলবাড়ীয়ার ছয় লক্ষ মানুষ আজ জিম্মি। কিশাের গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপােষক ও পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত রাকিব নামের এক ব্যক্তিকে সমর্থন দেন ড.তাজুল ইসলাম, যা পুরো উপজেলা জুড়েই ব্যাপক প্রচারিত। এই রাকিবকেও গত ০৯ তারিখের জনসভায় ড.তাজুলের বক্তব্য দেয়ার সময় তার পিছনে দেখা যায়। ফুলবাড়িয়া উপজেলাতে এখন উনার পরিবার একটি বিখ্যাত কবিরাজ পরিবারে পরিণত হয়েছে। চাকুরী,অসুস্থ রোগীর আরােগ্য লাভ,রাজনৈতিক জয়লাভসহ নানাবিধ বিষয়ে উনার পরিবারের দোয়া বা আশীর্বাদ ছাড়া কেউ সাফল্য লাভ করে না। যা সামনের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সমাবেশে বিভিন্ন প্রার্থীর বক্তব্যে উঠে আসে।
ড.তাজুল ফুলবাড়িয়া কলেজ গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন কিন্তু বিকৃত রুচির এই সরকারি কর্মকর্তা আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কোন মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রমােট করেননি। এমনকি আজ পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থীর খবর পর্যন্ত নেননি। কলেজের কোন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীকে সে আজ পর্যন্ত কোন অনুষ্ঠানে নেমন্তন তাে দুরের কথা কোন সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে কলেজ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে বলে আমাদের জানা নেই। কিন্তু ড.তাজুলের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের যেমন করেছেন প্রমোট তেমনি প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে তার গায়ে গায়ে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে সন্ত্রাসী বাহিনী।
ড.তাজুল প্রকাশ্য জনসভায় বলেছেন ফুলবাড়ীয়া কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি সরকার তাকে বানিয়েছে। কিন্তু জনমনে প্রচারিত ড.তাজুল বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ (কলেজ কেন্দ্রিক রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী লালন পালন,লােকাল রাজনীতির সাথে ওতােপ্রোতােভাবে লেগে থাকতে এবং এই কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও ট্যাক্সের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে চাঁদাবাজি) করতেই এই গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন।
ড.তাজুল প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন তিনি ফুলবাড়ীয়া কলেজ সরকারীকরণ করবেন । কলেজ সরকারীকরণের মত এই ক্ষমতা তার দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আদৌ সম্ভব কিনা? নাকি কলেজে উনার কর্তৃত্ব ধরে রাখতে ছাত্র- শিক্ষক তথা ফুলবাড়ীয়ার সাধারণ মানুষের সাথে এই প্রতারণামূলক কৌশল বেছে নিয়েছেন ?
ফুলবাড়িয়া কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উনি পঞ্চশ হাজার লােকের রাজসিক ভােজন, লক্ষ লক্ষ টাকায় তারকাদের ভাড়া করে নিয়ে আসা এবং তার সেই অনুষ্ঠানের বাকি অংশের খরচের প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকার উৎস কি?
ফুলবাড়িয়া কলেজের ব্যানারে বহিরাগতদের নিয়ে শ্রীপুর গলফ রিসাের্টে জমিদারি বনভােজনের ১৫ লক্ষ টাকা কোথায় পলেন ? গত ছয় মাসে ফুলবাড়িয়া কলেজে দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ,মসজিদ নির্মাণ এবং বিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তার নামের ফলকসহ কলেজ গেইট নির্মাণ করেছেন সেই টাকার উৎস কি?
২০২৪ সালের ৯ মার্চ দেশের এক ঝাঁক জনপ্রিয় অভিনেতা, অভিনেত্রী, ও শিল্পী এনে মাননীয় সংসদ সদস্যকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কোটি টাকা খরচের উৎস কি? নগদ দশ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সাত’শ ছেলেমেয়ের চাকুরী প্রদানের নাম করে নিয়ােগ বানিজ্য করেছেন। তিনি বীর মুক্তিযােদ্ধা আবুল হোসেন তালুকদার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপাষক। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দ্বান করা হয় সেই টাকার উৎস কি?
“Arise student Association” এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তিনি এবং এই এসােসিয়েশনের পক্ষ থেকে ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তির লক্ষ লক্ষ টাকার যােগান দেয়া হয় সেই টাকা কোথা থেকে আসে? একই দিনে সতেরটি সংগঠনকে লক্ষাধিক টাকার অধিক করে বিশ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের খেলাধুলার সামগ্রী ও দশ জন
হতদরিদ্রকে বিশ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের দশটি ইলেকট্রনিক অটোগাড়ি প্রদান করা প্রায় অর্থ কোটি টাকা তিনি কোথায় পেলেন?
২০১৭ সালের ২৭শে জুন কৈয়ারচালা- ভালুকজান,চাঁদপুর ঈদগাহ মাঠে তার নিজের নগদ পনের লক্ষ টাকা অর্থায়নে মিনার নির্মাণ করে প্রথম আলােচনায় আসেন তিনি । তার গ্রামের বাড়ীতে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স তালুকদার বাড়ি ২ নির্মাণ করেছেন সেই টাকার উৎস কি? বিদেশে প্রায় সময়ই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করানাের এত অর্থ কোথা থেকে পান তিনি? বেসরকারিভাবে করােনা মহামারি চলাবস্থায় উনি করানার টিকা কিভাবে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করলেন? সরকারি টিকা এনে নিজেকে সেই টিকার যােগানদাতা বা আয়ােজক দাবি করে সরকারের একটি সফল প্রােগ্রামকে বিতর্কিত করেছিলেন তিনি। তার বাবার মুক্তিযাোদ্ধা সনদ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শােনা রয়েছে । উল্লেখ্য, সরকারি গেজেটে অন্যান্য গ্রামে একাধিক মুক্তিযােদ্ধা থাকলেও বাঁশদী গ্রামে মাত্র একজন বীরমুক্তিযােদ্ধার নাম পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তের দাবি রাখে। একজন সরকারি চাকুরীজীবি হয়ে ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ের ব্যাপারে নেপথ্যের কারিগর হলেন কিভাবে? ইতিপূর্বেও ড.তাজুলের বিরুদ্ধে ২শ কোাটি টাকা দু্র্নীতির মামলা হয়েছিলাে দুদকে। এছাড়াও তিনি ভিকারুননিসা স্কুল এ্যান্ড কলেজে গভর্নিং বোর্ডের সদস্য থাকাকালীন ভর্তি বানিজ্যের সাথে জড়িত থাকায় তাকে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্ধারিত বাজার মূল্যের চেয়েও আট থেকে দশ গুণ অধিক মূল্যে নিজ এলাকায় কয়েক একর জমি কিনেছেন। দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ড.তাজুলের একাধিক বাড়ি,গাড়ি, ফ্ল্যাট, মার্কেট নিজস্ব মালিকানা ও শেয়ারে একাধিক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে লােকমুখে প্রচারিত আছে। গত ০৯ ই মার্চ নব-নির্বাচিত সাংসদ আঃ মালেক সরকার মহােদয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন বলেন ড.তাজুল ইসলাম চাইলে তিনি সামনের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন সুলতানাও বলেন ড.তাজুল ইসলামের সমর্থন পেলেই তিনি সামনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এক-ই ভাবে উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রুহুল আমিনও বলেন মাননীয় সাংসদ ও ফুলবাড়িয়ার অন্যতম অভিভাবক ড.তাজুল ইসলাম সমর্থন দিলে তিনিও নির্বাচন করবেন। গত পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করা গােলাম মােস্তফা বলেন ড.তাজুল ইসলাম সমর্থন দিলে আগামী পৌর নির্বাচন করবেন। ড.তাজুল যে ফুলবাড়ীয়ায় রাজনীতির প্রধান নিয়ন্ত্রক তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী একাধিকবার মানব বন্ধন করতেও দেখা গেছে বিগত সময়ে। বীর মুক্তিযােদ্ধা আবুল হােসেন তালুকদার ফাউন্ডেশন কর্তৃক শিক্ষা বৃক্তির অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য বিভিন্ন ব্যক্তির অংশ গ্রহণে ২০১৮ সালের ১০ই মার্চ রােজ শনিবার সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নে বেশ রাজসিক ভঙ্গিতে আয়ােজন করা হয় কোটি টাকার বাজেটের বিনিময়ে এবং এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিনি পুরো ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ব্যক্তিগত ক্ষমতা বা সক্ষমতার জানান দেন। গণি মিঞা নামের ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের একজন আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ নজির। দুর্নীতিগ্রস্থ এই সরকারি কর্মচারীর স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ড ও নানান দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুলবাড়ীয়ার সচেতন মহল সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে প্রতিবাদ সহ বেশ
কয়েকবার মানব বন্ধন করেছেন। কিন্তু তার খুটির জোর এই ড.তাজুল,যা উপজেলা জুড়ে বর্তমানে প্রচারিত। প্রত্যেক মাসে উপজেলা পরিষদের দুর্নীতির ভাগ বাটোয়ারা ড.তাজুলকে পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব এই দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মচারীর। ড.তাজুলকে দেশি মুরগী,মন্ডার আড়ালে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে দুই যুগ যাবৎ উপজেলা পরিষদে এক ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলছেন এই গণি
মিঞা। ড.তাজুল ও গণি মিঞা’রা দুর্নীতির মাধ্যমে একই সূতোয় গাঁথা। প্রতিবছর উপজলার সকল মুক্তিযােদ্ধা ও অসহায় পরিবারের মাঝে ভারী ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা যায় ড.তাজুলকে। এরই
ধারাবাহিকতায় গত বছর ঈদের পূর্বে উপজেলার ৪১০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ১৭০০ জন অসহায় গরীবদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় দুই হাজার টাকার উপহার সাম্রী ছিলো। এছাড়া উনার নিজ গ্রামে এই আয়ােজন করায় উপজেলার অন্যান্য গ্রাম থেকে আসা মুক্তিযােদ্ধা ও অসহায়দের আসা-যাওয়া বাবদ গাড়ী ভাড়ার টাকাও তিনিই দেন। ঈদ উপহারের নাম করে একজন সরকারি চাকুরীজীবির এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস কি? স্থানীয় পর্যায়ে মানুষকে হেনস্তা করতে তার সরকারি চাকুরীর প্রভাব খাটান তিনি। পান থেকে চুন খসলেই সে ট্যাক্সের গাড়ী পাঠিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকেন। ফুলবাড়িয়া উপজলার প্রাণকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু চত্বরের পিছনের অংশ, যেখানে একসময় সমাজ কল্যাণ অফিস ছিলাে। সেই ভগ্ন ঘরটিতে বাগান করার কথা থাকলেও এখন সেখানে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ড.তাজুলের একান্ত আজ্ঞাবহ গণি মিঞার সহযোগিতায় ড.তাজুল তার রাজনৈতিক চেম্বার বানানোর জন্য দেয়াল তুলেছেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ফুলবাড়ীয়ার সচেতন মহল নিন্দার ঝড় তুলেছেন। এসব অভিযোগের বিষয় বিস্তারিত জানতে ড.তাজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনকল রিসিভ করেননি তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং