এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাসের বিরুদ্ধে ২কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত করতে এসে সেই কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাসের অফিস কক্ষে বসেই ভূড়িভোজ করেছেন তদন্ত করতে আসা কয়েকজন কর্মকর্তা।
অনলাইন পোর্টাল সহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় ধারাবহিক কয়েকটি সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার (১লা জুলাই) তিনটি তদন্ত টিম অলাদা আলাদা ভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাউফলে আসেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা হলেন অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবুল কাদের আজাদ, সিনিয়র মনিটরিং এন্ড ইতালুয়েশন অফিসার আবদুল্লাহ ওয়াহেদ, পটুয়াখালীর এডিও এইচএম শামীম, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য জোড়দার প্রকল্প আঞ্চলিক সমন্বয়ক মেহের মালিকা এবং এসএসিপি প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আবু সিয়াম জুলকারাইন, সিনিয়র মনিটরিং অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান ও তাজুল ইসলাম ।
এরমধ্যে মেহের মালিকা, সৈয়দ আবু সিয়াম জুলকারাইন ও হাবিবুর রহমান তদন্ত শেষে চলে গেলেও বাকি তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাসের অফিস কক্ষে দুপুরে ভূড়িভোজ করেছেন। তাদেরকে মুরগির মাংস, ইলিশ মাছ, বিভিন্ন ধরণের ভর্তা, সবজি ও ডালসহ হরেক রকমের আইটেম দিয়ে ভূড়িভোজ করানো হয়।
তদন্তে এসে অভিযুক্ত কর্মকর্তার অফিস কক্ষে ভূড়িভোজের ঘটনা জানার পর স্থানীয় কয়েক সাংবাদিক কৃষি অফিসে গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং তাদের পরিচয় দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকদের সাথে তর্কে লিপ্ত হন। পরে অবশ্য তদন্তকারী কর্মকর্তরা তাদের নাম ও পদবি উল্লেখ করেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ ও ভূড়িভোজের দায়িত্ব দেয়া হয় সদ্য যোগদানকৃত কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আজমির রহমান আকাশের উপর। তবে কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাস তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ভূড়িভোজ ও ম্যানেজের বিষয়টি অস্বীকার করেন।