মোঃ আশরাফুল ইসলাম
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রঙ্গিলাবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত একটি কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গাজীপুরের শিল্পপুলিশের পরিদর্শক ও কনস্টেবল আহত হন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, ওই ঘটনায় নারীসহ অন্তত ৭জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জামেলা খাতুনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার রঙ্গিলাবাজার এলাকায় আনোয়ারা নিট কম্পজিট কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে ওই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত গাজীপুর শিল্পপুলিশের পরিদর্শক আসম আব্দুর নূর ও কনস্টেবল ইয়াসিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বেতন-ভাতা দাবি করে আসছিল। কারখানা কর্তৃপক্ষ গ্রহন করেনি।
কারখানার শ্রমিক হাজেরা আক্তার, রোজিনা আক্তার ও রুবেল মিয়া জানান, দাবি না মানায় আজ দুপুর প্রায় ১২টার দিকে তারা কর্মবিরতি দিয়ে পাশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা বিক্ষোভ করছিলেন।
গাজীপুর শিল্পপুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, পুলিশ সেখানে পৌঁছে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার প্রস্তাব দেন শ্রমিকদের। শ্রমিকরা তা অগ্রাহ্য করে। পরে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে তারা। এতে গাজীপুর শিল্পপুলিশের পরিদর্শক আসম আব্দুর রব ও কনস্টেবল ইয়াসিন আহত হন। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, ওই ঘটনায় কারখানার শ্রমিক জামেলা খাতুন, লিপি আক্তার, লিজা আক্তার, সুমাইয়াসহ সাত শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জামেলা খাতুনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ছয়জনকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।