নিউজ ডেস্ক:
নারী নির্যাতনের অভিযোগে বাউফল উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান ওরফে ইব্রাহিম খলিল সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন সানজানা খান সিথী নামের এক গৃহবধূ। মামলার অন্য আসামীরা হলেন গৃহবধূ সিথীর স্বামী মাইনুল ইসলাম, শ্বশুর বাবুল হোসেন ও শ্বাশুড়ি মোর্শেদা বেগম।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ৯ মে পারিবারিক মধ্যস্থতায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক নাজিরপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাবুল হোসেনের ছেলে মাইনুল ইসলামের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আসবাবপত্র,স্বর্ণালংকারসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ব্যয় করে আমার বাবা আমাকে স্বামীর বাড়ি তুলে দেয়।বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই নানা ছুঁতোয় স্বামী মাইনুল আমার উপর শাররীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া নেকলেস ও কানের দুল নিয়ে বাজারে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে মাদক সেবন করে মাইনুল। একের পর এক অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে সিথী তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের আপোষ মীমাংসার কথাবার্তা শুরু হয়। গত ৫ জুলাই সিথী তার শ্বশুড়বাড়ি গেলে স্বামী মাইনুল জানতে চায় বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের ৫ লাখ টাকা এনেছি কি না? আমি আনিনি বলার সাথে সাথে মাইনুল আমাকে ছাতা দিয়ে পেটাতে থাকে। এসময় আমার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি ও আমার চাচা খলিলুর রহমান আমাকে কিলঘুষি মেরে ঘর থেকে বের করে দেয়। ঘটনার পরের দিন আমি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়। সিথী মামলার আসামীদের বিচার দাবি করছে।
সিথীর স্বামী মাইনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা কোন সত্য না মিথ্যা।
বাউফল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কোন কাগজপত্র হাতে পাইনি, পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।