এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::
ঐতিহ্যবাহী ভুরভুরিয়া সরকারি খাল ভরাট করে বসতঘর বাড়ি করে বসবাস করছেন মোঃ শাহ আলম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে। খালটি মরার পথে বসায় দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ ভোগান্তি। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা গেছে ক্ষোভ।
ঘটনাটি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া কাঠের পুল ব্রিজ সংলগ্ন উত্তর পাশে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি খাল টা দখল নিয়ে বালু ও মাটি ভরাট করে বড় বসতঘর বাড়ি করেছেন। তাতে শাহ আলম হাওলাদার তার পরিবার বর্গ নিয়ে বসবাস করে আসছেন। মোঃ শাহ আলম হাওলাদার, দাসপাড়া কাঠের পুল ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা মৃত মোঃ তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এ খালটির নাম ভুরভুরিয়া খাল। পুরাতন খালের মধ্যে এটা একটা খাল। কালাইয়া বড় খাল থেকে শুরু হয়ে ফজয়র আলী মৃধা বাড়ির পূর্ব পাশ দিয়ে দাসপাড়ার ভিতর দিয়ে দাসপাড়া কাঠের পুল হয়ে মৈশাদী খালে গিয়ে মিলিত হয়ে দশমিনা বড় খালে গিয়ে মিলিত হয়েছে খালটি। কিন্তু শাহ আলম হাওলাদার নিজের পুরান বাড়িতে ঘরদুয়ার রেখে কাঠের পুল ব্রিজ সংলগ্ন উত্তর পাশে সরকারি খালটিকে দখল নিয়ে বালু ও মাটি ভরাট করে বসতঘর বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। যাহার দরুন খালটি এখন মরার পথে বসেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, কিভাবে খালটি দখল নিয়ে বালু ও মাটি ভরাট করে বসতঘর বাড়ি তুলে বসবাস করছে? এগুলো কি ভূমি অফিসের লোকজন দেখেননা, নাকি তারা অন্ধ? এ খালটির অভাবে দুর্ভোগ ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয় লোকজন। খালটি মরার পথে বসায় এখন শীতকালীন ফসলাদি দিতে পারছেননা কেউ। এরকম বসতঘর বাড়ি দ্রুত উচ্ছেদ পূর্বক খালটি পুনরায় উদ্ধার করে জনসাধারণের জন্য সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে খালটি দখল নিয়ে বালু ও মাটি ভরাট করে বসতঘর বাড়ি তুলে বসবাস করা মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ভূমি অফিসের লোকজন আমাকে ফিতা দিয়ে মেপে দিয়েছেন। তাই ঘরবাড়ি করে থাকছি। তবে ভূমি অফিসের লোকজন যদি চায় তাহলে আমি বারান্দা ভেঙে খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবো।
এব্যাপারে দাসপাড়া ভূমি অফিসের তহসিলদার মোঃ মনির হোসেন বলেন, আসলে বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। এখন সরেজমিন পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক কুমার কুন্ডু বলেন, এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।