সৈকত জামান প্রিন্স ফুলছড়ি-গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী মন্ডলের পরিবারের সদস্যসহ তিনজন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আনসার আলী মন্ডলের দুই পুত্র, একজন সেনাসদস্য এবং একজন পুলিশ সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী মন্ডল ও সাবেক ইউপি সদস্য মধুমন্ডল গংয়ের মধ্যে। সোমবার বিকেলে এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী মন্ডলের দুই পুত্র সেনাসদস্য রুহুল আমিন এবং পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন। এছাড়া রতন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী আহত হন তাদের অপর এক স্বজন। সংঘর্ষে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে। তবে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান খুশি বলেন, সংঘর্ষের পর থেকেই কাতলামারি গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন দীর্ঘদিন ধরে এ বিরোধ একাধিকবার মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামাড়ি গ্রামে এমন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।