এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর বাউফলে চা’দা না দেয়ায় লু’ট করা সেই তরমুজ উ’দ্ধা’র সহ অ’ভি’যু’ক্ত’দের মধ্যে তিনজনকে গ্রে’ফ’তা’র করেছে বাউফল থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত গত ২৫ ফেব্রুয়ারি-২৫ ইং তারিখে চন্দ্রদ্বীপের রায় সাহেব এলাকার তরমুজ চাষি মানিক বেপারি ৮৬০ পিচ তরমুজ ট্রলারে ভর্তি করে বরিশাল মোকামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পাশের ইউনিয়ন নাজিরপুরের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার এনায়েত খানের ছেলে সাইফুল খান তার দলবল নিয়ে গিয়ে ট্রলার চালককে মা’র’ধ’র করে ট্রলার সহ ভর্তি তরমুজ গুলো নিয়ে নিমদী লঞ্চঘাটে আসেন। পরে তরমুজ চাষি মানিক বেপারি ট্রলার সহ ভর্তি তরমুজ গুলো ছাড়াতে আসলে তার কাছে তিন লক্ষ টাকা চা’দা দাবি করেন। টাকা দিতে অপা’রগতা প্রকাশ করলে চাষি মানিক বেপারিকে মা’র’ধ’র করা হয়। পরে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ট্রলার ছাড়িয়ে আনেন চাষী মানিক।
এদিকে চাষি মানিক বেপারি ২৬ ফেব্রুয়ারি- ২৫ ইং তারিখে বাদী হয়ে ওই বিএনপি নেতা এনায়েত খান ও ছেলে সাইফুল খান সহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় একটা মা’ম’লা দায়ের করেন। থানা পুলিশ রাতেই সাইফুল খানকে গ্রে’ফ’তা’র করেন।
ছেলে সাইফুল খান গ্রে’ফ’তা’রে’র পর থেকে বাদীকে বিভিন্ন ভাবে মা’ম’লা তুলে নিতে হু’ম’কি দিয়ে আসছেন বিএনপি নেতা বাবা এনায়েত খান।
এরই প্রেক্ষিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি-২৫ ইং তারিখে শতাধিক নারী পুরুষ একত্র হয়ে চন্দ্রদ্বীপে অ’ভি’যু’ক্ত’দের গ্রে’ফ’তা’র পূর্বক বি’চা’র দাবিতে বি’ক্ষো’ভ মিছিল করেন।
পরে ১লা মার্চ-২৫ ইং তারিখে লু’ট করা তরমুজ মধ্যে ৫শত পিচ তরমুজ উ’দ্ধা’র করা হয়। এসময় আরও দুই জনকে গ্রে’ফ’তা’র করা হয়।
তারা হলেন- মো. মেহেদী হাসান (২০) ও গোলাম মর্তুজা (৪০)। তবে বিএনপি নেতা এনায়েত খানকে এখনও গ্রে’ফ’তা’র করতে পারেননি পুলিশ।
মামলার ত’দ’ন্ত’কা’রী কর্মকর্তা এসআই মো. মজিবুল হক স্বত্যতা স্বী’কার করে বলেন, ‘লু’ট হওয়া তরমুজের ৫শত পিস উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি তরমুজ ও আ’সা’মি’দের গ্রে’ফ’তা’রে’র চেষ্টা চলছে।